সারাদেশ

মনপুরার মেঘনার জেলেদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ নেই কোন কর্মসংস্থান এর ব্যাবস্থা।

প্রিন্ট
মনপুরার মেঘনার জেলেদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ নেই কোন কর্মসংস্থান এর ব্যাবস্থা।

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ ২০২৫

মনপুরার মেঘনায় দুই মাস  মাছ ধরা বন্ধ। এ সময় নেই অন্য কোনো কর্মসংস্থান। জীবন-জীবিকা নিয়ে নতুন সংকটে পড়েছেন  মনপুরার অর্ধ লাখের বেশি জেলে। দীর্ঘদিনের বিরতির কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরাও।

জেলেদের তথ্যানুযায়ী, উপজেলার  ১৫ টি ঘাটের প্রায় দুই হাজার ফিশিং ট্রলারের জেলেরা বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। তবে কর্মহীন জেলেদের পুনর্বাসনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

১ মার্চ  থেকে ৩০  এপ্রিল পর্যন্ত মনপুরার মেঘনায় ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারির পর জালসহ মাছ ধরার উপকরণ গুছিয়ে রাখছে জনতা  ঘাটের কামাল উদ্দিন  ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা। এরপর থেকে বেকার জীবনে চলছে নানা সংকট।

বর্তমানে বাজারে নিত্যপণ্যের উচ্চ দামে নাকাল সব-শ্রেণির ক্রেতারা, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তরাও এখন অস্বস্তিতে।

কামাল এর মতো একই সংকটে থাকা শতাধিক ফিশিং ট্রলার জনতা  ঘাটে বেঁধে অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা। মেঘনা নদীতে মাছের আকাল চলছে। তাই জীবন-জীবিকা নিয়ে হতাশ তারা।

রামনেওয়াজ  এলাকার মৎস্যজীবী নাজিম উদ্দিন মাঝি (৩৫) বলেন, সংসারের অভাব-অনটনের কারণে পড়াশোনা না করে ছোট থেকেই এই পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। কোনো বছর বেশ ভালোই আয় হয় আবার কোনো বছর গুনতে হয় লোকসান। এভাবেই কেটেছে প্রায় ১৫ টি বছর।  মনপুরার মেঘনায়  ৬০ দিনের অভিযান দেওয়ার কারণে আমরা এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছি । গত বছর তুলনামূলক অন্যান্য মাছসহ ইলিশ মাছও কম পাওয়া গিয়েছে । পরিবারে বউ-ছেলে-মেয়ে আছে। আমরা চলব কি করে। এই মাছ ধরার ওপর দিয়েই তো আমরা চলি।

সংকটাপন্ন জেলেদের সহায়তার কথা জানালেন মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন ।
তিনি  জানান , ১ মার্চ  থেকে মনপুরার মেঘনায়  অভিযান শুরু হয়েছে যা চলবে ৩০ এপ্রিল  পর্যন্ত।   ৬০ দিনের অভিযানে মৎস্যজীবীরা মনপুরার মেঘনা নদীতে কোন ধরনের  মাছ ধরতে পারবেন না।
মনপুরা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন এর নিবন্ধিত ১৪৪৩৪  জেলের মধ্যে এ বছরই প্রথমবারের মতো সমুদ্রগামী   ৬৬৬৩  জেলেকে  ৩ ধাপে  ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।