সারাদেশ

বাঞ্ছারামপুরে মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ।

প্রিন্ট
বাঞ্ছারামপুরে মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে  ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ।

ছবি : বাঞ্ছারামপুরে মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ।


প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 বাঞ্ছারামপুরে মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে  ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ।

মো রোমন হায়দার , বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৩ বছরের আরেক কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরনের পর ১দিনের মধ্যে জামিনে বের হয়ে ধর্ষণ মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ভিক্টিমের পিতা মো: ছানাউল্লার । তিনি তার শিশু মেয়েটির ধর্ষণের বিচার দাবী করেছে।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে নিজ গ্রাম থেকে ধর্ষক কিশোরকে আটক করা হয়।ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা চা দোকানদার সানাউল্লাহ আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় তার নিজ বাড়িতে ও থানায় লিখিত অভিযোগসুত্র ধরে বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ২টার দিকে তার সাত বছর বয়সী মেয়ে স্থানীয় আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ক্লাশ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে আলাউদ্দিন মিয়ার বখাটে কিশোর ছেলে মুখ চেপে জোরকরে বাহেরচর কালা মিয়ার নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করে। দুপুর ৩টার দিকে বাড়িতে এসে দেখেন তার মেয়ে কান্নাকাটি করছে। গোপনাঙ্গ হতে রক্ত ঝড়ছে।পরে ঘটনা জেনে ২২ সেপ্টেম্বর পুলিশকে জানানো হয়।ধর্ষণের শিকার শিশুটিও এই প্রতিনিধিকে একই কথা বলে। শিশুটি মাদ্রাসার প্লে গ্রুপের ছাত্রী।বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান জানান, শিশুটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ প্রেক্ষিতে ২২ তারিখই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালত যদি জামিন দেয় তখন তো আমার করার কিচ্ছু থাকেনা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে (২১ সেপ্টেম্বর) বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। শনিবার অভিযুক্ত ধর্ষক কিশোরের বাড়িতে সরেজমিনে গেলে কোনো পুরুষ মানুষ কে পাওয়া যায়নি। মহিলারা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।