সারাদেশ

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: স্বাধীনতার ঘোষক ও রাষ্ট্রনায়ক

প্রিন্ট
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: স্বাধীনতার ঘোষক ও রাষ্ট্রনায়ক

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার 

নাটোর 


বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও রাষ্ট্রগঠনের ইতিহাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক উজ্জ্বল নাম। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব, স্বাধীনতার ঘোষণা এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর কার্যক্রম জাতির ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।


১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। শৈশব থেকেই শৃঙ্খলাপরায়ণ ও মেধাবী তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সামরিক জীবনে সৎ ও সাহসী অফিসার হিসেবে তিনি দ্রুত সুনাম অর্জন করেন।


১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে চট্টগ্রামে অবস্থানরত ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত এই ঘোষণা মুক্তিকামী মানুষকে উজ্জীবিত করে। পরবর্তীতে তিনি ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে "বীর উত্তম" খেতাবে ভূষিত করা হয়।


স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও জিয়ার উত্থান ঘটে। ১৯৭৭ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করা হয়। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা প্রচলন করেন, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং শিল্পায়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করেন। তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), যা দ্রুত দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।


তবে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে অবস্থানকালে একদল বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তার হাতে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে জাতি হারায় এক যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর মৃত্যুতে দেশব্যাপী শোকের ছায়া নেমে আসে।


আজও শহীদ জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া আদর্শ, রাজনৈতিক দর্শন ও উন্নয়ন ভাবনা বাংলাদেশের রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে। তাঁর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন। তাঁদের পুত্র তারেক রহমান বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতির ইতিহাসে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।