ছবি : সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৯ বৎসর পর অনুষ্ঠিত হলো কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ) কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের পদচারনায় মুখরিত ছিল পুরো শহর। ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরনে সাজানো হয়েছিল গোটা শহর।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনের উদ্ভোদক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব -উন-নবী সোহেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ। এছাড়া জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং ভাতৃপ্রতিম অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশের সংস্কার নিয়ে কারো সাথে কোন মতবিরোধ বিএনপির নেই। তবে সকল সংস্কার জনগণের রায়ে প্রতিষ্ঠিত সরকারের মাধ্যমে হতে হবে। তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর দেশে পুনরায় এক অদৃশ্য শক্তি ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই পরিস্থতিতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে দলের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহব্বান জানান তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার উদ্ভোদনী বক্তব্যে বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে জাতীয়তাবাদী শক্তি নিয়ে দেশ পরিচালনা করার জন্য তারেক রহমানের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
বিকাল ৫টার পরে নতুন নেতৃত্ব গঠনের জন্য কাউন্সিলরদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহব্বান জানান সম্মেলনের প্রধান বক্তা জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব -উন- নবী সোহেল। জেলা বিএনপির ২১টি ইউনিটের ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর দলের নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয় এবং রাত দুইটায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব -উন- নবী সোহেল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান,প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ শরীফুল আলম এবং তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫২২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন পেয়েছেন ১১৫টি ভোট। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১১৫৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল পেয়েছেন ৬৫১ ভোট।নবনির্বাচিত কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সকল নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তাই নেতাকর্মীরা উ্ৎসব আমেজে মেতে উঠেছিল। দলের দুঃসময়ের কর্মীরা নতুন কমিটিতে স্থান পাবেন বলে তাদের প্রত্যাশা।
মতামত