ছবি : সাম্প্রতিক ছবি
৪৫ বছর সয়সি মনোয়ারা বেগম বলেন, আজ প্রায় ১৫ বছর ধরে মাছ ধরে খাই/ সংসার চালাই। বৈশাখ জৈষ্ঠ্য মাসে ১শত চিংড়ি মাছে বাচ্চা বা পোনা ২শত থেকে দেড়শত টাকা ও ৬০-৭০ টাকায়ও বিক্রি করে থাকেন। সারাদিন রোদে শুকাই বৃষ্টিতে ভিজি। এভাবেই সংসার চলে। অন্য কোনো কাজ নেই।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ থাকলেও এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি এ অবৈধ জালের ব্যবহার। অবৈধ জালের ভিতরে সবচেয়ে ক্ষতি করে কারেন্ট জাল, চিংড়ি রেণু ধরে নেট জাল, বেহুন্দি জাল। এ জালগুলো যদি ব্যবহার করে এক টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পযন্ত জরিমানা করা হয়। সবোচ্চ দুই বছরের জেল। বিশেষ করে, রেণুর সৃজনের সময় দেখা যায় দশ হাজার থেকে পনেরো হাজার নারী-পুরুষ ধরতে নেমে যায় এমনটাই বলেন তিনি।
চরফ্যাশনের জেলে পরিবারগুলোর জন্য এখন দরকার বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা। তা নাহলে নদী হারাবে তার প্রাকৃতিক সম্পদ, আর জেলেরা হারাবে তাদের জীবিকা। মেঘনা বাঁচুক, বাঁচুক জীববৈচিত্য।
মতামত