ছবি : ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "শহীদ জিয়া হলেন আদর্শ, খালেদা জিয়া অনুপ্রেরণা এবং তারেক রহমান হলেন উৎসাহ।" মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধার হিসেবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে।
সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে পুরো শহরকে সাজানো হয়েছে। নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা, কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে এবং নতুন কমিটিতে দলের দুঃসময়ের কর্মীরা স্থান পাবেন। তাড়াইল থানা বিএনপির নির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম দানু জানান, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম সম্মেলন হওয়ায় নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত।ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য বলে জানান দলীয় নেতারা। তারা বলেন, তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব্ প্রতিষ্ঠিত হবে। সাধারণ নেতা কর্মীরাও যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতৃত্বের হাতে ভবিষ্যত জেলা বিএনপিকে দেখতে চান।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী সোহেল। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন এবং আবু ওয়াহাব আকন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম।
ভার্চুয়াল বক্তব্যে তারেক রহমান দেশের সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সংস্কার নিয়ে বিএনপির কোনো আপত্তি বা মতবিরোধ নেই, তবে তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে সরাসরি স্বৈরাচার না থাকলেও একটি অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অংগ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
মতামত