ছবি : এ প্রতিবেদকের সরেজমিন পরিদর্শনে উঠে আসে ভিন্ন তথ্য-বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম'ই বন্ধ রয়েছে ২০২৩ সাল থেকে।এ 'প্রতিবেদক'কে এমনটা জানিয়েছেন সেখানকার এলাকাবাসী।
দুমকী(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:- দুমকীর হনুফা নুরআলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ঘর নির্মাণ ও বিদ্যালয়ের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং পুড়িয়ে ধ্বংস করার অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও বিদ্যালয়টির, মাঠ দখল করে চারপাশে চট দিয়ে বেড়া দেওয়ায় ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারায় বর্তমানে বন্ধ আছে শিক্ষার কার্যক্রম,এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।তবে এ প্রতিবেদকের সরেজমিন পরিদর্শনে উঠে আসে ভিন্ন তথ্য-বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম\'ই বন্ধ রয়েছে ২০২৩ সাল থেকে।এ \'প্রতিবেদক\'কে এমনটা জানিয়েছেন সেখানকার এলাকাবাসী।
শনিবার সকাল ১০টায় দুমকী প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিদ্যালয়টির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড চরবয়ড়া গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ২০০৬ ইং সালে হনুফা নুরআলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর ২০শতাংশ জমি ক্রয় করে এমপি ৯৩২/১১ এর আদেশ ও স্থানীয় সালিশ গনের রোয়েদাতনামার মাধ্যমে মীমাংসিত জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্কুল ঘড় নির্মাণ করা হয়।
দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ চলমান স্কুলে স্হানীয় মুসা হাওলাদার,রাকিবুল ইসলাম,নিজাম উদ্দিন,আ:কুদ্দুস,মো: সিদ্দিকও মো: শাহিন হাওলাদার গত১৭ই জুন/২৫ইং তারিখ রাত ২ঘটিকায় স্কুল মাঠের কাঁটাতারের পিলার উপড়ে ফেলে চটের বস্তা ও টিন দিয়ে সমস্ত স্কুল ঘর ও খেলার মাঠ অবরুদ্ধ করে ঘর উঠিয়ে মুসা মঞ্জিল নামে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে স্কুল মাঠটি দখল করে নেয়।এবং স্কুলের চেয়ার, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ড, বেঞ্চ, বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান, স্টিলের আলমারি ভাঙচুর লুটপাট শেষে স্কুল গৃহে আগুন লাগিয়ে দেয়। আলমারিতে রক্ষিত স্কুলের কাগজপত্রাদি রক্ষিত পুরাতন পরীক্ষার পেপার ও রেজিস্টার খাতা শিক্ষা সামগ্রী পুড়িয়ে ফেলে এবং স্কুলের অধিকাংশ টিনের চাল উপড়ে ফেলে এমন অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টি সভাপতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টির মাঠে চট ও টিনের বেড়া রয়েছে।বেড়া দেওয়ায় এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী।
তিনি আরো বলেন,স্কুল ঘড় ও খেলার মাঠ অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে উদ্ধার করে পূর্বের ন্যায় শিক্ষার কার্যক্রম চালু করা যায় তার জন্য প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন করছি।
দৈনিক \'প্রতিচ্ছবি\'র প্রতিবেদকের সরোজমিনে গিয়ে উক্ত ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে,এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত মুসা হাওলাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মতামত