ভারত

মোদির বিরুদ্ধে থালা-পতি বিজয়ের যুদ্ধ ঘোষণার এক মাস পরের চিত্র

প্রিন্ট
মোদির বিরুদ্ধে থালা-পতি বিজয়ের যুদ্ধ ঘোষণার এক মাস পরের চিত্র

ছবি : মোদির বিরুদ্ধে থালা-পতি বিজয়ের যুদ্ধ ঘোষণা


প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জঃ ‎প্রায় এক মাস আগে দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও রাজনৈতিক নেতা থালা-পতি বিজয় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একপ্রকার "যুদ্ধ ঘোষণা" করেছিলেন। তার এই ঘোষণা ভারতের রাজনীতিতে এক আলোড়ন তোলে। বিজেপি সরকারের নীতি, বিশেষ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারকে প্রকাশ্য সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়টি তিনি সরাসরি সমালোচনা করেছিলেন।

‎‎এক মাস পেরিয়ে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন মোড় নিয়েছে। ভারতের অলিতে-গলিতে, বিশেষ করে তরুণ সমাজের মধ্যে “হাসিনা হটাও, মোদি হটাও” স্লোগান জোরদারভাবে উঠছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও বলছে, মোদি সরকার হাসিনাকে অন্ধভাবে সমর্থন করতে গিয়ে এখন অভ্যন্তরীণ সংকটে জড়িয়ে পড়েছে।

‎সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর

‎‎রাজধানী দিল্লির এক বিক্ষোভকারীর ভাষায়—‎“আমরা ভারতের গণতন্ত্র চাই, বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্রকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ বন্ধক দেওয়া হবে না।”

‎মুম্বাইয়ে প্রতিবাদকারীরা শ্লোগান দিচ্ছিলেন—‎“মোদির নীতি দেউলিয়া, হাসিনা-মোদির জোট ভাঙো, গণতন্ত্র বাঁচাও।”

‎‎তামিলনাড়ুতে বিজয়ের সমর্থকদের মুখে শোনা গেছে—‎“থালাপতি বলেছে, মোদি হটবে—ভারতের ভবিষ্যৎ বাঁচবে।”

‎বিশ্লেষণ

‎‎রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র দমনের পৃষ্ঠপোষকতা করার কারণে ভারতের জনগণের মধ্যে মোদি সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের একাংশ মনে করছে, প্রতিবেশী দেশের স্বৈরশাসককে বাঁচাতে গিয়ে মোদি ভারতের গণতন্ত্র ও জনগণের স্বার্থকেই বিসর্জন দিচ্ছেন।

‎‎অন্যদিকে, থালা-পতি বিজয়ের অবস্থান সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তরুণ ভোটাররা তাকে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান শুধু তামিলনাড়ুতেই নয়, উত্তর ভারতেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

‎‎বর্তমান চিত্রে বলা যায়—হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে বাঁচাতে গিয়ে মোদি নিজেই রাজনৈতিকভাবে ফাঁদে পড়েছেন। এক মাস আগে বিজয়ের ঘোষণাকে অনেকে আবেগী পদক্ষেপ ভেবেছিলেন, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সেই ঘোষণাই ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন গণআন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছে।