শিক্ষা

জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৫: বিএমইউ-এর ১৬ শিক্ষার্থীর ঐতিহাসিক অর্জন

প্রিন্ট
জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৫: বিএমইউ-এর ১৬ শিক্ষার্থীর ঐতিহাসিক অর্জন

ছবি : বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি লোগো ও মিলেনিয়াম ফেলোশিপ লোগো


প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০২৫

বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও মর্যাদাসম্পন্ন জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) ১৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থী। জাতিসংঘের একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (UNAI) ও মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের (MCN) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক নেতৃত্বমূলক প্রোগ্রামে এ বছর প্রথমবারের মতো বিএমইউ-এর শিক্ষার্থীরা অন্তর্ভুক্ত হলো, যা দেশের জন্য এক গৌরবের অর্জন।

মর্যাদাসম্পন্ন এই ফেলোশিপে ক্যাম্পাস ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ তৌহিদুর রহমান এবং ওশানোগ্রাফি অ্যান্ড হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নুসাইর আহমেদ।

এছাড়া নির্বাচিত অন্যান্য ফেলোরা হলেন— আবি খান, আবু সাঈদ আল-ইমাম, আহমেদ মুক্তাফি রোহান, আসমা ইফা, ফাবিয়া কবির তোহা, হুমায়রা হক, ইসরাত ত্রিশা, আবু সিয়াম, মোঃ শামস রুবায়েত, নিশমা সুলতানা, ওসামা ফরিদ, রনিত রয়, সামিন রওনক সরদার এবং সুজনা সৈয়দ গোধুলি।

জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ফেলোশিপের আবেদন প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। বিশ্বব্যাপী ৭,৫০০টিরও বেশি ক্যাম্পাস থেকে জমা পড়া ৬০,০০০-এর বেশি আবেদন পর্যালোচনার পর মাত্র ৪% বা প্রায় ২৯০টি ক্যাম্পাস চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। এবছর এই ফেলোশিপে ৪,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন।

ফেলোশিপ চলাকালে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) বাস্তবায়নে কাজ করবেন। এই উদ্যোগের আওতায় তারা এমন প্রকল্প হাতে নেবেন যা স্থানীয় ও বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে অবদান রাখবে— যেমন দারিদ্র্য হ্রাস, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, এবং সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠা।

এই ফেলোশিপ শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্মানজনক প্ল্যাটফর্মই নয়, বরং নেতৃত্বের দক্ষতা, সমস্যা সমাধান, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং সহযোগিতার মানসিকতা গড়ে তোলার এক অনন্য সুযোগ। অংশগ্রহণকারীরা অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক প্রভাব সৃষ্টির পাশাপাশি নিজেদের শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে টেকসই পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।

জাতিসংঘের এই বৈশ্বিক প্রোগ্রামে বিএমইউ শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের মেরিটাইম শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে— যা দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।