বরিশাল

ভোলার তজুমদ্দিনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিবের নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রিন্ট
ভোলার তজুমদ্দিনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিবের নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৫

ভোলা সদর উপজেলার প্রতিনিধি 

ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদার দাবীতে স্বামীকে আটকে রেখে মারধর করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৮। তিনি মামলার এজাহার নামীয় ৫ নম্বর আসামী। তাঁর নাম মানিক হোসেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গতকাল বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে দুষ্কৃতকারীরা।

তিনি আরও জানান, ভোলায় নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় বর্বরোচিত ও পশুর চেয়েও হিংস্রতায় গোটা দেশের মানুষ হতভম্ব। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলেই নারীর ওপর এ ধরনের বর্বর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এসময় তিনি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান।

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ও তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল আহম্মেদ এবং যুগ্ন আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন সজিবকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়াও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় চলছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে করা হয়েছে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত খান জানান, ঘটনার পর পুলিশ একজন নারীকে আটক করেছে। ওই নারী ধর্ষিতার সতীন। এছাড়াও আজ দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে র‍্যাব মামলার এজাহার নামীয় ৫ নম্বর আসামী মানিককে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান আছে।

প্রসঙ্গত, গেল সোমবার ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লার পুকুর পাড় এলাকায় চাঁদার দাবিতে রাতভর স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় শ্রমিকদল, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী। এর পরেই ঘটনাটিকে ঘিরে ভোলাসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।