রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন ঘেরাও

প্রিন্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন ঘেরাও

প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘MARCH FOR OUR RIGHTS’ শিরোনামে আন্দোলনে নেমেছেন। রাবি সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় প্যারিস রোডে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৯ দফা দাবি হলো:

১. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

২. ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৩. পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল হিসেবে কার্যকর করতে হবে।

৫. প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করতে হবে।

৬. কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার করতে হবে।

৭. হল ডাইনিং-এ মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান করতে হবে।

৮. পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি (TSCC) দ্রুত কার্যকর করতে হবে।

৯. রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল অনতিবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে।

রাবি সংস্থার আন্দোলনের মুখপাত্র সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “আমাদের এই ৯ দফা কোনো বিলাসিতা নয়, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা। বছরের পর বছর আমরা অবহেলিত থেকেছি, এবার আর নয়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তানিয়া আনজুম বলেন, “এই আন্দোলন কারও বিরুদ্ধে নয়, এটি আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমরা চাই একটি নিরাপদ, আধুনিক, ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস। এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা কর্মসূচি আরও জোরদার করব।”

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় উত্থাপিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে তারা এবার সংগঠিতভাবে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, শিক্ষার্থীদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাঙ্গনে রূপ দিতে দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হোক।