ঢাকা টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে উগ্র সন্ত্রাসী সা\'দ পন্থীদের অতর্কিত হামলায় ৪ জন শহীদ অসংখ্য আহত সাথী ও নিখোঁজের প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার শাস্তি ও সা\'দপন্থীদের বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধের দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা শেরপুর জেলার আয়োজনে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কানাশাখোলা বাজারস্থ বাইপাস মোড়ে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইত্তেফাকুল উলামা শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি রফিকুল ইসলাম কাসেমী, জামিয়া সিদ্দিকীয়া তেরাবাজার মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক, কানাশাখোলা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো: হামিদুর রহমান, আতিকনগর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দাওয়াত এ তাবলীগের যে কাজ হযরত ইলিয়াস (রা:) তিনি প্রথম শুরু করেছিলেন আজ থেকে প্রায় আটানব্বই, নিরানব্বই বছর আগে। এতোদিন কিন্তু উলামায়ে কেরাম বিরোধীতা করেন নাই, তাবলীগ জামাতে আলেম উলামা এবং সাধারণ মানুষ প্রায় নব্বই বছর যাবত এ কাজ করে আসছেন। এখন সা\'দ গ্রুপের অনেক লোক সাধারণ মানুষকে বুঝায় সা\'দ সাব আলেমদের বিরুদ্ধে বলার কারণে উলামায়ে কেরামগণরা উঠেপড়ে লাগছে তাবলীগের বিরুদ্ধে।
বক্তারা আরও বলেন, একটা শ্রেণির লোক তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উলামায়ে কেরামগণদের দূরে সরানো জন্য বার বার বলে আসছে। এসময় কাজ চলতেছে উলামায়ে কেরামগণ বিরোধিতা করে নাই, এখন কেন করতেছে এটার কারণ উদঘাটন করেন।
বক্তারা, গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তাবলীগের সাথী ও মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর নির্মম ও বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চারজন নিহত ও পাচ শতাধিক আহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসি এবং সা\'দপন্থীদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানান।
এসময় মানববন্ধনে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং শিক্ষার্থী ও সাধারণ মুসল্লীগণ সহ প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতামত