ছবি : সহোদর তিন বোন।
মোঃ মাসুদ রানা।
মনোহরদী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
শিশুরা শুধু ভবিষ্যতের নয়, তারা বর্তমানে সমাজের প্রাণ। আর সেই প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছিল নরসিংদীর রায়পুরা, যেখানে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো শিশুদের জন্য বিশেষ ম্যারাথন—‘নরসিংদী কিডস রান ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।
আজ সোমবার (৯ জুন) ভোর ৬টায় আশারামপুর গেইট বাজার থেকে আশারামপুর গ্রামের শেষপ্রান্ত পর্যন্ত ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। সঙ্গে ছিলেন রায়পুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, এবং আয়োজক কমিটির প্রধান সবুজ শিকদারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
‘রান ফর এডুকেশন, রান টু সেভ চিলড্রেন’—এই প্রতিপাদ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে দুই শতাধিক ক্ষুদে প্রতিযোগী। বয়সভিত্তিক দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ হয়ে শিশুরা অংশ নেয় প্রতিযোগিতায়, যেখানে আনন্দ-উল্লাস আর চিৎকারে মুখরিত হয়ে ওঠে আশপাশের গ্রাম্যপথ।
দর্শনার্থীদের মধ্যে কেউ এসেছেন সন্তানকে উৎসাহ দিতে, কেউবা শুধুই এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন দেখতে। অনেকের চোখে মুখে ছিল বিস্ময়—“শিশুরা যে এমন করে দৌড়াতে পারে, আমরা কল্পনাও করিনি”।
এই আয়োজন ছিল শুধুই প্রতিযোগিতা নয়, ছিল শিশুদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন আত্মবিশ্বাস। এমনই একজন বাবা, মনোহরদীর উত্তরআলগী গ্রামের বাসিন্দা ও পলাশ সেন্টাল কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক এবং বাফুফের তালিকা ভুক্ত রেফারি সেলিম আহমেদ। তাঁর তিন কন্যা—মেহে জাবিন জান্নাত, আরিশা জান্নাত ও নূসাইফা জান্নাত—প্রথমবারের মতো অংশ নেন এমন বড় পরিসরের প্রতিযোগিতায়।তিনি জানান, “আমার মেয়েদের প্রতিদিন অনুশীলন করাই। আমি চাই ওরা একদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুক। এই আয়োজন আমার মেয়েদের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা।”
রায়পুরা রানার্স কমিউনিটি ও নরসিংদী রানার্স-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ ফেস্টিভ্যাল শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে অবদান রাখবে বলেই মনে করেন স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ তৈরির এমন আয়োজন আরও ঘনঘন হোক—এমনই প্রত্যাশা সকলের
মতামত