সারাদেশ

পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরী

প্রিন্ট
পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরী

ছবি : কোরবানি পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার সময় ধারণকৃত


প্রকাশিত : ০২ জুন ২০২৫

কোরবানি শব্দটি উচ্চারিত হলেই যে বিষয়টি সর্বপ্রথম মাথায় আসে সেটি হচ্ছে ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানির পরপরই প্রধান চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সারা বছর যে পরিমাণ পশু জবাই করা হয় তার প্রায় ৫০ ভাগ কোরবানির ঈদেই জবাই করা হয়। তাই এ বিষয়ে সামান্য অসচেতনতা বা অজ্ঞতার ফলে দেখা দিতে পারে পরিবেশগত নানা সমস্যা। সাধারণত পশু জবাই করার পর এর বর্জ্য, রক্ত, গোবর, হাড়, খুর, শিং ইত্যাদি যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। ফলে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতার অভাবে মারাত্মকভাবে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জণস্বাস্থ্যর উপর  এর বিরূপ প্রভাব পড়ে । এছাড়াও নালা বা নর্দমায় ফেলা বর্জ্য থেকে ছড়ায় নানা ধরণের রোগ জীবাণু। অতিরিক্ত বর্জ্যের চাপে নর্দমা বন্ধ এবং বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবার আশঙ্কাও থাকে। বিশেষ করে শহরে সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার লোকজন এসব বর্জ্য অপসারণ করতে হিমশিম খায়। তাই পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ করা হলে একদিকে যেমন পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব অন্যদিকে জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সম্পদে পরিণত করা সম্ভব হবে। বর্জ্যকে সম্পদে রুপান্তরিত করার একটি কার্যকর উপায় হলো গ্রামাঞ্চলে অনেকের পশু একত্রে কোরবানি করা এবং পশুর বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলা যেন পরবর্তী কোরবানির আগেই জৈব সার হিসেবে সেটি শস্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। সেইসাথে জীবাণু যেন না ছড়ায় সেজন্য নোংরা স্থানে ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। রক্তমাখা রাস্তাঘাট ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে এবং সুস্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় নিয়ে সুনির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একটু সচেতনতা এবং সঠিক পরিকল্পনা আমাদের এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, কোরবানি আমরাই করি এবং এর পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বটাও আমাদের।