মৌলভীবাজার জেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর ওয়াবদা, ইসলামপুর ও সোনালোহা গ্রামের মানুষ আজ যেন উন্নয়ন থেকে একেবারেই ছিটকে পড়েছে। গ্রামের মাঝখান দিয়ে যাওয়া একমাত্র পাকা রাস্তাটি এখন বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। আর বৃষ্টি কিংবা বর্ষা এলে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ভয়াবহ। প্রতি বছর নিয়মিতভাবে বন্যা হলে ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক পরিবার ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয় অসহায় মানুষগুলো যেন টিকে আছে ভাগ্যের ওপর ভরসা করে রাস্তার মাঝখানে সৃষ্ট বিশাল গর্তগুলোতে বৃষ্টি হলেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। তখন বোঝার উপায় থাকে না কোথায় রাস্তা, কোথায় গর্ত। স্কুলগামী শিশু, বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী বা অসুস্থদের জন্য এ পথ হয়ে ওঠে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই গাড়ি আটকে যায় গর্তে ওয়াবদা গ্রামের এক বৃদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, ঘরের মধ্যে পানি উঠে যায়, আবার বাইরে রাস্তাও গর্তে ভরা। আমরা যাব কোথায় কেউ আসে না খোঁজ নিতে সোনালোহা গ্রামের কৃষক জব্বার মিয়া জানান, বন্যায় আমাদের ক্ষেত-খামার তলিয়ে যায়। যেটুকু ফসল হয়, সেটাও রাস্তার কষ্টে বাজারে নিতে পারি না। পাকা রাস্তা থাকলেও গর্তে গর্তে ভরা। এখন তো মনে হয়, রাস্তার চাইতেও নদী ভালো স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কেউ স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বন্যার সময় ত্রাণ সামগ্রীও পর্যাপ্ত পৌঁছায় না ইসলামপুরের কলেজপড়ুয়া তরুণ নাসির বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে, কিন্তু আমরা সেই উন্নয়ন দেখিনি। বরং প্রতিবার বৃষ্টি নামলে মনে হয় আমাদের জীবনে আবার দুর্যোগ নামলো এলাকাবাসীর দৃঢ় দাবি অবিলম্বে এই পাকা রাস্তার গর্তগুলো সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বন্যা প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই অঞ্চলের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি
মতামত