ছবি : সংগৃহীত
মোঃ মকবুলার রহমান
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধি:
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সম্প্রতি বাংলাদেশের আটটি সীমান্তবর্তী জেলা দিয়ে অন্তত ১০৪ জন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলার বিজিবি ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও রয়েছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শ্রমজীবী হিসেবে বসবাস করছিলেন।
পঞ্চগড়: পঞ্চগড় সদর উপজেলার জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রবেশের পর বিজিবি ২১ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ১৪ শিশু, ছয় নারী ও একজন যুবক রয়েছেন, যাদের বাড়ি খুলনা ও নড়াইলে। বিজিবির দাবি, বিএসএফ তাদের জোর করে সীমান্ত পার করিয়েছে, যদিও পতাকা বৈঠকে বিএসএফ এ অভিযোগ অস্বীকার করে। বিজিবি এই ঘটনায় প্রটোকল লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
লালমনিরহাট: পাটগ্রাম উপজেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ বলছে, তাদের পরিচয় ও ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনী: ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ৩৯ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনেকেই ২০০৭ সাল থেকে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং ইটভাটায় কাজ করতেন। তাদের মধ্যে অনেকের পরিচয় ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর: এই দুই জেলার সীমান্ত দিয়ে চারজন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়, যারা গুজরাটে কাজ করছিলেন। তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে বিএসএফের মাধ্যমে পুশ-ইনের শিকার হন। বিজিবি ও পুলিশ এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রেখেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান: বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, নয়াদিল্লি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—ভারতে বর্তমানে দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি অবস্থান করছেন, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই। তিনি বলেন, "পুশ-ইনের মতো একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আপত্তি জানানো হয়েছে এবং আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি।"
মতামত