ছবি : সংগৃহীত
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধি
নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেছেন, “১৯৭৫ সালে দেশে গণতন্ত্রের করুণ মৃত্যু ঘটেছিল। সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমান সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন, এমনকি আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ হয়েছিল।”
ইঞ্জিনিয়ার তুহিন শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে বলেন, “তৎকালীন একনায়কতান্ত্রিক শাসনে সরকারের অনুগত সংবাদমাধ্যম ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই দুঃসময়ে শহীদ জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর জন্ম না হলে স্বাধীনতার ঘোষণাও আসতো না। শেখ মুজিব আত্মসমর্পণ করেছিলেন এবং তাঁর পরিবারসহ শেখ হাসিনা পাকিস্তানি বাহিনীর অধীনে থেকে ভাতা নিয়েছেন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৫ আগস্ট শেখ হাসিনার জন্য খাবার প্রস্তুত থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি, শেষপর্যন্ত দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে ন্যায়বিচার—যিনি সম্মান দেন, তিনিই তা ফিরিয়ে নেন।”
নির্বাচন নিয়ে মত প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা সংঘাতে যেতে চাই না, বরং শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার দেখতে চাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাধা এলে অতীতের শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মানোয়ার হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগির সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আরিফ-উল-ইসলাম লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মতামত