রাজনীতি

মায়ের বুক খালি করার রাজনীতি বাংলার মানুষ দেখতে চায় না চরমোনাই পীর

প্রিন্ট
মায়ের বুক খালি করার রাজনীতি বাংলার মানুষ দেখতে চায় না চরমোনাই পীর

ছবি : মায়ের বুক খালি করার রাজনীতি বাংলার মানুষ দেখতে চায় না চরমোনাই পীর


প্রকাশিত : ১৪ মে ২০২৫

দৈনিক বাংলার প্রতিচ্ছবি 

ফলো করুন

পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে



বাংলাদেশের মানুষ আর মায়ের বুক খালি করার রাজনীতি দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মন্তব্য করেছেন।


আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তো মৌলিকভাবে এ দেশে রাজনীতি করার কোনো যুক্তি নেই। তাদের যখন নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আওয়াজ তুলেছিল; তখন আমরা কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যানার নিয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং খুনিদের বাতিলের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নিই। এখন কথা হলো অন্য যারা রয়েছে, তাদের যে কৌশল, এটাকে আমি ঘৃণা করি। আমি তাদের এই কৌশলকে ধিক্কার জানাই। কারণ, হাজার হাজার মায়ের কোল সন্তানহারা হয়েছে। আর এই খুনিদের নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে টালবাহনা, এটা বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। এ জন্য তারা নাকি কৌশল করছে। এই কৌশলের রাজনীতি বাংলাদেশে মানুষ দেখতে চায় না

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘এখন সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি—তাদের শাসন আমরা দেখেছি। নতুনভাবে তারা আমাদের কী উপহার দেবে, সেটা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে জেনে গেছে। নতুনভাবে আমাদের আর দেখার কিছু নেই। এখন শুধু একটিই নীতি–আদর্শ রয়েছে, সেই নীতি–আদর্শের মাধ্যমে দুনিয়াতে শান্তি, আখিরাতে মুক্তি। তার নাম ইসলাম।’


রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা পাঁচ দফার আলোকে বক্তব্য দেন। তাঁদের দাবিগুলো হলো জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার ও জড়িতদের সব নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, ইসলাম ও ধর্মবিরোধী নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, ভারতের ওয়াক্‌ফ আইন সংস্কারের নামে মুসলিম নির্মূলের চক্রান্তের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যা বন্ধকরণ এবং বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠন।


সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নাবী, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আলেম ও সমাজসেবক হাফেজ মাওলানা আবদুর রহমান দিদারী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, রাজশাহী জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগরের সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ।