বিশেষ সংবাদ

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

প্রিন্ট
 মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ১০ মে ২০২৫

মোংলার একমাত্র সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে ১০ মে শনিবার সকালে মোংলা পৌরসভা চত্বরে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মোংলার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহীন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

বক্তব্যে তিনি বলেন, “মোংলা এখন শুধু বন্দর নগরী নয়, এটি শিল্প ও পর্যটন শহর হিসেবেও পরিচিত। আশেপাশের রামপাল, দাকোপ, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা থেকেও মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। মাত্র ৫০ শয্যার হাসপাতালে এত মানুষের সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই, হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা অতীব জরুরি।

মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ বলেন,মোংলায় আশেপাশের উপজেলার মানুষ, শিল্প এলাকায় কর্মরত শ্রমিকসহ দিন দিন জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান হাসপাতালের অবকাঠামো ও জনবল দিয়ে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহীন বলেন, “২৮ জন চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র ৫ জন চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চলছে। এটা কতদিন চলবে? ভবনের অবস্থাও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ ও চিকিৎসক নিয়োগ জরুরি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের আমীর এম এ বারী, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান হোসেন, মোংলা প্রেসক্লাব সভাপতি আহসান হাবীব হাসান, অধ্যক্ষ আবু সাইদ খান, ব্যবসায়ী নাসির তালুকদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক জানে আলম বাবু ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মেহেদী হাসান শুভ প্রমুখ।

বক্তারা হাসপাতালে নিয়মিত অপারেশন চালু রাখার জন্য গাইনী ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ নিয়োগের দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে ১০০ শয্যার হাসপাতালের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়।